কক্সবাজার, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

প্রতিবছর হাজারখানেক রোহিঙ্গাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসনের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, এমন তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তবে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে খুব একটা অগ্রগতি নেই। সম্প্রতি সময় সংবাদকে এ তথ্য জানান তিনি।

এদিকে এ বছর নির্ধারিত সময়ের তিন মাস আগেই চলতি মধ্যে তৈরি হবে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান। এ ছাড়া স্থানীয় লোকবল নিয়োগের মাধ্যমে প্রশাসনিক ব্যয় কমিয়ে আনার প্রস্তাব করবে সরকার।

মিয়ানমারে জাতিগত নিধনের শিকার হওয়া সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা বোঝা হয়ে আছে বাংলাদেশে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের পরেও ৫ বছরেও শুরু হয়নি প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া। বিকল্প হিসেবে চলতি বছরের ২৫ আগস্ট দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের যে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন তারই আলোচনার জন্য চলতি মাসের রোববার (৪ ডিসেম্বর) ঢাকায় আসেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসনবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জুলিয়েটা ভ্যালস নয়েস। ওয়াশিংটনের এ প্রস্তাবকে মানে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে ঢাকা।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রতিবছর হাজারখানেক রোহিঙ্গাকে যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসনের আলোচনা চলছে। যদিও তিনি জানান, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকেই গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সম্প্রতি সময় সংবাদকে আরও বলেন, প্রতিবছরই তারা এক হাজার করে রোহিঙ্গা নেবে। প্রতিবছর যদি ৫ থেকে ১০ হাজার করেও যায় তাহলে ১০ বছরে যাবে মাত্র এক লাখ। ততদিনে ১০ লাখের মধ্যে জনসংখ্যাও কিন্তু বেড়ে যাবে। বেড়ে গিয়ে এক লাখের চেয়ে বেশি হয়ে যেতে পারে। নম্বরটা কিন্তু তুচ্ছই থাকছে।

এদিকে প্রতিবছর মার্চ-এপ্রিলের দিকে বাংলাদেশের নেতৃত্বে তৈরি হয় রোহিঙ্গা অর্থায়নে জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান-জেআরপি।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, এ পরিকল্পনা এবার ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে চায় সরকার। কমিয়ে আনতে চায় প্রশাসনিক ব্যয়। জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান-জেআরপি খুব দ্রুতই করা হবে। আর আমরা চেষ্টা করব চলতি মাসেই করতে।

ইউক্রেনসহ বৈশ্বিক সংকটে রোহিঙ্গাদের জন্য কমছে বিদেশি মনোযোগ ও সাহায্য। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ১৯০ কোটি ডলারের বেশি সহযোগিতা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশ থেকে প্রায় ১০ হাজার রোহিঙ্গাকে পুনর্বাসন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র সময়টিভি

পাঠকের মতামত: